আমি নিজে কখনোই এত বাংলা সাহিত্য প্রমী ছিলাম না। কিন্তু আমি বরাবরই দেশপ্রেমীক ছিলাম এবং এখনো আছি। দেশের কথা ভাবি, দেশকে ভালোবাসি। তাই হয়তো দেশের কোথায় কি ঘটছে বা হচ্ছে বা কি হইলো এগুলো নিয়ে মাথাব্যাথা না থাকলেও সবসময নিজে থেকে এগুলো জানার চেষ্টা করি। সম্প্রতি বাংলাদেশে যেটা ঘটছে আপামর সাহিত্যপ্রমীদের মাঝে সেটা সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখেনা কারণ সেটি নিয়ে আমার থেকে অনেকে অনেক আগে থেকেই জেনেছেন। আমাদের দেশের বরেন্য সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ মারা গেছেন।?ক্যান্সারে আক্রান্ত হুমায়ূন ৬৪ বছর বয়সে গত ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বেলভ্যু হাসপাতালে মারা যান। এটি নিয়ে সারা বাংলাদেশের মাঝে একটি শোাকাভিবুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যেটা আসলেই ওনার কর্মের ফল। কারণ তার সৃষ্টি অনেক চরিত্র-ই এখনো অনেকের কাছে বাস্তব স্বপ্নের মতো।
কিন্তু ব্যাপারটি এখানেই কিছু নয়। তার মৃত্যুর পর তার কবরস্থান ঠিক করা নিয়ে সারা বাংলাদেশ আজ যা দেখলো সেটি আসলেই লজ্জাস্কর একটি বিষয়। আজকে বাংলার বরেন্য একজন সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর কবরের স্থান ঠিক করা নিয়ে বাঙ্গালী যা দেখল আসলেই এই অসভ্য, কু-মানষিকতার মানুষগুলো এতদিন ‘হিমু’র সৃষ্টিকর্তার আশে পাশে ছিল ভাবতেও আমার লজ্জা লাগছে। সব জ্ঞানপাপীদের ভীড় আর কবরের জায়গা নিয়ে পেচাপেচি দেখে এতক্ষনে আত্নহত্যা করা উচিত ছিল তাদের মাঝের অনেকের। আর হুমায়ুন আহমেদের সকল ভক্তের কাছে আমার অনুরোধ যে, আবার শহীদ মিনারে আপনারা জড়ো হয়ে এই?পাচাপাচির বিচার চান। জানি, মুখে মুখে শুধু ভক্ত হইতে পারেন। কাজের বেলায় কচুও পারেননা। এই সকল ভক্তদের প্রতি আমার কিছুই বলার নেই। নিজেকে তার ভক্ত হিসারে তখন বলবেন যখন তার মর্যাদাও আপনি রাখতে পারবেন। হুমায়ুন আহমেদ যদি আপনােদর সেই হিমু, মিসির আলীর জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে যানতো কেমন পারেন জবাব চান তার কবর দেওয়া নিয়ে যারা পাচাপাচি করলো আর নইলে ঘরের ভিতর বসে ফেইসবুকে শুধু তার নাম দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়ে যান কিন্তু এর বেশি কিছু করতে যেয়েননা।
আজকে ধর্ষিত আমার চেতনা, আমার মূল্যবোধ মৃত, বিষদাত গজিয়েছে আমার শিরায় শিরায়। আমার লজ্জা করে তোমাদের দেখে, আমার ঘৃণা হয়, আমাকে বার বার মুর্খ হয়ে যেতে ইচ্ছে করে, আমার ভিতরটা কেদে ওঠে।
হুমায়ুন আহমেদ কি আসলে ফেইসবুকে ফ্যান পেজে লাইক বাড়ানোর জন্য একটি ইস্যু অথবা সেলিব্রটি? উনি নাস্তিক কি আস্তিক সেটা আমার দেখার বিষয় না। উনি একজন সাহিত্যিক এটাই আমার বড় কখা। আর ফেইসবুকে ওনার ভক্তরা যেভাবে জনসমুক্ষে ওনার মুতদেহের ছবি…. অথবা যে সকল ফেইসবুক পেজ মেয়েদের উলঙ্গ ছবি প্রকাশ করে সেইসব পেজ থেকে যদি তার ছবি শেয়ার করা হয় তাহলে আমার প্রশ্ন উনি আসলে কি? বেশিরভাগ জ্ঞান পাপীরায় কি ওনার ভক্ত? আমার যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে হুমায়ুন আহমেদের মত একজন মানুষের ভক্তদের ভার্চুয়াল কাজ-কর্ম দেখে। আমি নিজেই লজ্জিত।
জনসাধারণের কাছে আমি শুধুমাত্র আম-জনতার অনুভূতি তুলে ধরার জন্য ফেইসবুক থেকে সংগ্রহ করা কিছু ব্যক্তির স্ট্যাটাস আমি একটু শেয়ার করতে চাই (যদিও আমি এই স্ট্যাটাসের মালিকের কাছ থেকে কোন অনুমতি নেই নায় এ জন্য আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী).
বিচার আপনাদের হাতেই, উপলব্দিও আপনাদের বোধের উপর নির্ভর করে। শুধু আমাদের প্রয়োজন আমাদেরকে চেনার। কত নিচু আমরা হতে পারি। জ্ঞানপাপীরা আমাদের বন্ধু নাকি শত্রু নাকি তারা-ই আমাদের লজ্জার কারণ?
একজন ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে আমরা এমন নাটক চাইনা। আমি হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।